প্রোটফলিও ওয়েবসাইট বা সাইট বর্তমান সময়ে অনলাইন ভিত্তিক চাকুরীজীবিদের একটি প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দিন দিন বেড়ে চলেছে প্রোটফলিও ওয়েবসাইটের চাহিদা। আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের কাছে প্রোটফলিও ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক…
প্রোটফলিও ওয়েবসাইট কী?
উত্তরঃ প্রোটফলিও ওয়েবসাইট হচ্ছে কোন ব্যক্তির অনলাইন ভিত্তিক সিভি। যেখানে নিজের সকল স্কিল ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সারা বিশ্বের যে কোন মানুষের জন্য তুলে ধরা হয়। যাতে করে সহজেই কোন ব্যক্তির কর্ম সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বৈশ্বিক ক্লায়েন্ট ও অনুরাগীদের কাছে সহজেই তুলে ধরা সম্ভব হয়।
কাদের জন্য প্রোটফলিও ওয়েবসাইট দরকার?
উওরঃ কমবেশি সব কাজের জন্য পোর্টফোলিও বানানো যায়। যেমন, একজন বেকারী কর্মকর্তা নিজের তৈরি কেক ও পেস্ট্রির ছবি দিয়ে তার বেকিং দক্ষতা নিয়ে অন্যদের জানাতে পারেন। তবে সব পেশায় এর প্রয়োজন হয় না। যেসব পেশায় এটি কাজে দেবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- গ্রাফিক ডিজাইনার
- ওয়েব ডিজাইনার
- ফ্রিল্যান্সার
- ইন্টেরিয়র ডিজাইনার
- অ্যানিমেটর
- ওয়েব ডেভেলপার
- আর্টিস্ট
- মডেল ও অভিনেতা
- রাজনীতিবিদ
- লেখক
- ব্যাবসায়ী
প্রোটফলিও সাইট কেন দরকার?
উত্তরঃ প্রোটফলিও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে হয়ে থাকে। নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু কিছু কারণ তুলে ধরা হলো…
১. দেখানোঃ একটি পোর্টফোলিও আপনার প্রফেশনাল দক্ষতা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার একটি বড় প্রমাণ। একজন সম্ভাব্য নিয়োগদাতা এর মাধ্যমে আপনার কাজের মান ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পান।
২. অবগত করাঃ একটি পোর্টফলিও ওয়েবসাইট আপনার বা আপনার কম্পানির প্রোফেশনালিজম এবং আইডিয়া সম্পর্কে আপনার ক্লায়েট বা অনুরাগীদেরকে স্পষ্টভাবে অবগত করে।
৩. উদ্ভাবনঃ আপনার ওয়েবসাইটে আপনার তথ্যগুলোকে তুলে ধরে আপনি আপনাকে সকলের কাজে নিজেকে উদ্ভাবন করতে পাচ্ছেন। পাশাপাশি আপনার আইডিয়াগুলো সকলের সামনে তুলে ধরতে পাচ্ছেন। যা আপনাকে অন্যদের থেকে কিছুটা এগিয়ে রাখছে।
৪. নিজেকে প্রোটেক্ট করাঃ সময়ে সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে চাকুরির বাজারের প্রতিযোগিতা। প্রায় সব চাকরির জন্য সিভি বা রেজ্যুমে দরকার হয়। কিন্তু সেখানে শুধু আপনার কর্মজীবনের একটি সারাংশ থাকে। আপনি ঠিক কোন ধরনের কাজ করেছেন, কীভাবে সে কাজ করেছেন ও কাজের সর্বশেষ ফলাফল কী – সিভি/রেজ্যুমে থেকে এসব বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায় না। তাই আপনার উল্লেখযোগ্য কাজের একটি সংগ্রহ থাকলে তা প্রফেশনাল দক্ষতাকে ফুটিয়ে তুলতে সবার থেকে এগিয়ে রাখবে।
৫. বিশ্বাস তৈরি করাঃ প্রোটফলিও সাইটে দেওয়া আপনার কাজ, স্কিল, অ্যাওয়ার্ড এবং আপনার ক্লায়েন্টের দেওয়া রিভিউগুলো আপনাকে নতুন ক্লায়েন্ট বা কম্পানি বা অনুরাগীদের কাছে আপনাকে বিশ্বস্ত করে তুলতে সহায়তা করবে।
৬. ফলোয়ার তৈরি করাঃ প্রোটফলিও ওয়েবসাইটে ভালো ভালো প্রজেক্ট, আইডিয়া, কাজের স্যাম্পল ও নিয়িমিত ব্লগ পোস্টিং এর মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ফলোয়ার তৈরি করে নিতে পারবেন। এবং আপনার আপডেটের জন্য আপনার ফলোয়াররা সর্বদা উৎসুক হয়ে থাকবে।
৭. মার্কেট এ নিজের চাহিদা বৃদ্ধি করাঃ প্রোটফলিও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার স্কিল, কাজ ও আইডিয়াগুলোকে সহজেই সবার সামনে তুলে ধরতে পারবেন। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস অথবা সোশ্যাল কমিউনিটিতে খুব সহজেই উপযুক্ত স্থানে আপনার প্রোটফলিও শেয়ার করে আপনি নিজের চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারেন এবং আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সহজেই নতুন কাজ জোগাড় করে ফেলতে পারেন।
আজকে এ পর্যন্তই। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ
Awesome post! Keep up the great work! 🙂
Thanks for your feedback
Great content! Super high-quality! Keep it up! 🙂
Thanks for your feedback ????
Wow, fantastic weblog format! How long have you been running a blog for?
you made running a blog glance easy. The entire glance of
your site is wonderful, let alone the content material!
Thanks for your feedback ????
Hi there mates, how is the whole thing, and what you would like to say about this piece of writing, in my view its genuinely amazing in favor of me.
Thanks for your feedback ????